তওবা কবুল হওয়ার চারটি শর্ত

মুফতী বায়েজিদ আহমদ কাসেমী: রমজানে আল্লাহ পাক ক্ষমা করার জন্য প্রস্তুত। এই ক্ষমা পাওয়ার জন্য আমাদেরকে একটা কাজ করতে হবে। তা হলো খাঁটি দিলে আল্লাহর কাছে গোনাহের জন্য তওবা ইস্তেগফার করতে হবে। তওবা এস্তেগফার কথা দুটোর অর্থ হলো, তওবা অর্থ আল্লাহর কাছে ফিরে আসা। আর ইস্তেগফার অর্থ মাফ চাওয়া। অতএব তওবা এস্তেগফারের অর্থ হলো গোনাহের পথ থেকে ফিরে আসা এবং আল্লাহর কাছে মাফ চাওয়া। খাঁটি তওবা এস্তেগফার হওয়ার জন্য চারটি কাজ হওয়া জরুরি। এক. জীবনে যত গোনাহ হয়েছে তার জন্য মনে মনে অনুতপ্ত হওয়া। গোনাহের জন্য যদি আমি মনে মনে অনুতপ্ত না হই, শুধু মুখে মুখে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই তাহলে খাঁটি তওবা হবেনা। দুই. ঐ গোনাহও করতে থাকবো, গোনাহ ছাড়বো না। আবার এস্তেগফারও করতে থাকবো, তাহলে খাঁটি তওবা এস্তেগফার হবে না। তিন. ঐ গোনাহ সামনে আর কখনো করবোনা-মনে মনে এরকম দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিতে হবে। মনে মনে পূর্ন ইচ্ছা করতে হবে যে, এই গোনাহ ভবিষ্যতে আর করবো না। চার. কোন বান্দার হক যদি আমি নষ্ট করে থাকি, কারোর পাওনা সাধ্য থাকা স্বত্বেও যদি না দিয়ে থাকি বা অন্য যেকোন ভাবে বান্দার কোন হক যদি নষ্ট করে থাকি তাহলে যথাসাধ্য সে হক আদায় করার চেষ্টা করতে হবে। অন্যায় ভাবে কারোও টাকা-পয়সা গ্রাস করে থাকলে যে কোন ভাবে হোক তার কাছে পৌছাতে হবে। তাকে না পেলে তার উত্তরাধীকারিদের নিকট পৌছাতে হবে। উত্তরাধীকারিগনও না পেলে তার নামে সেই পরিমান অর্থ দান করে দিতে হবে।

আরো পড়ুন : জাকাত আদায়ে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে: ইমরানুল বারী সিরাজী

বান্দার হক বান্দা মাফ না করলে আল্লাহ তায়ালা কখনো মাফ করবেন না। এই চার চারটি কাজ করার পরে আল্লাহর কাছে তওবা-এস্তেগফার করলে তা খাঁটি তওবা এস্তেগফার করতে হবে। তখন আল্লাহ তায়ালা আমাকে ক্ষমা করবেন। রমজানের এই দশকে আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করার জন্য প্রস্তুত, তবে আমাদের কে ক্ষমা পাওয়ার জন্য খাঁটি দিলে তওবা এস্তেগফার করতে হবে এবং তওবা এস্তেগফারের জন্য আমাদের কে এই চারটি কাজ করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকল কে তৌফিক দান করুন। আমীন।
লেখক: ইসলামি চিন্তাবিদ ও গবেষক।